রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন
তানজিল জামান জয়, কলাপাড়া(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।। পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ মোহনা সংলগ্ন ফেয়ারওয়ে বয়ার কাছাকাছি ডুবে যাওয়া কন্টেইনারবাহি কার্গো জাহাজ এমভি গলফ আরগো’র ১৪ জন নাবিককে সাগরবক্ষ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ সাঙ্গু’র সহায়তায় নৌ-বাহিনীর একটি দল শুক্রবার সকালে নাবিকদের উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টার সময় পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ মোহনা সংলগ্ল ফেয়ারওয়ে বয়া থেকে ১৫-২০ কি. মি. গভীর সাগরবক্ষে এ জাহাজটি ডুবে যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এমভি জুলফার নামে লাইটার জাহাজ ডুবেছে।
উদ্ধারকৃতরা হলেন জাহাজের ক্যাপ্টেন কাজী আবদুল্লাহ আল মুহিত (৩৫), প্রধান প্রকৌশলী হাসান রেজা খালিদ (৩২), চীফ অফিসার কাজী মাহমুদ আলম (২৮), প্রকৌশলী নূর আলম হিমেল (২৬), মাস্টার মোজাম্মেল হোসেন (২৪), বোসনমেট রফিক উল্লাহ (৫৯), এ্যাবল সীম্যান মো. জুবায়ের হোসেন (২৪), অডিনারী সীম্যান সুজন মুখার্জী (২০), অডিনারী সীম্যান মো. সাহাবুদ্দিন (২১), সৈনিক শাহদাত হোসেন (৩৭), জমিরুল ইসলাম (৩০), শহিদ মিয়া (২৩), মো. রাজু (২৫) এবং আবদুর রশিদ (৫০)।
শুক্রবার বিকেলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো তথ্য বিবরণীতে জানা গেছে, কন্টেইনারবাহী জাহাজ এমভি গলফ আরগো ১৫২টি কন্টেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে কলকাতা যাচ্ছিল। জাহাজটি পায়রা বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়ার কাছে পৌঁছলে এর ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এ সময় বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় কন্টেইনারসহ জাহাজটি ডুবে যায়।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের সহকারী তথ্য কর্মকর্তা এস এম শামীম আলমের প্রেরিত তথ্যে আরও জানা গেছে, নাবিকগণ বর্তমানে নৌ-বাহিনী জাহাজ সাঙ্গুতে অবস্থান করছে। উদ্ধারকৃতদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও খাবার প্রদান করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযান শেষে জাহাজটি পায়রা বন্দরে ফিরলে তাঁদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টার সময় উদ্ধারকৃত নাবিকদের সহায়তা দিতে নৌ-বাহিনীর অপর একটি দল পায়রা বন্দর থেকে রওয়না হয়ে যায়। সাগর প্রচন্ড উত্তাল থাকায় পায়রা বন্দরের ফেয়ার ওয়ে বয়ার কাছাকাছি গিয়ে ওই দলটি ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে।
Leave a Reply